• শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

আবাসিক হোটেলে অভিযান, ১১ নারী-পুরুষ আটক

আবাসিক হোটেলে অভিযান, ১১ নারী-পুরুষ আটক

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১০ নারী ও একজন পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ।


মঙ্গলবার যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফারুক আহমেদ যুগান্তরকে জানান, গতকাল (সোমবার) রাতে যাত্রাবাড়ী শহীদ ফারুক সড়কে পপুলার আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ওসি বলেন, যাত্রাবাড়ী আবাসিক হোটেলগুলোতে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিন ধরে। সে মোতাবেক সোমবার পপুলার হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১১ নারী-পুরুষকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে নন-এফআইআর প্রসিকিউশন দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যাত্রাবাড়ীর কোনো হোটেলেই অসামাজিক কার্যকলাপ চলতে দেওয়া হবে না। কোনো হোটেলের অভিযোগ পেলে অভিযান চালানো হবে।

মন্তব্য / প্রেরক

আগামী নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করার আহ্বান

আগামী নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করার আহ্বান
হাতিরঝিলে জামায়াতের থানা দায়িত্বশীল সমাবেশ

জামায়াতে ইসলামী ন্যায়-ইনসাফের ভিত্তিতে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য দীর্ঘ পরিসরে আন্দোলন করে যাচ্ছে; তাই জামায়াতে ইসলামী এদেশের জন্য আল্লাহ তা’য়ালার বড় নিয়ামত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা-১২ আসনে জামায়াত মনোনীত সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাইফুল আলম খান মিলন।


সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৮টায় তেজগাঁও দক্ষিণ থানার অস্থায়ী কার্যালয়ে হাতিরঝিল অঞ্চল জামায়াত আয়োজিত এক থানা দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও হাতিরঝিল অঞ্চল পরিচালক হেমায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সহকারী অঞ্চল পরিচালক ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকারের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন তেজগাঁও দক্ষিণের আমির ইঞ্জিনিয়ার নোমান আহমেদি, তেজগাঁও উত্তরের আমির হাফেজ আহসান উল্লাহ, হাতিরঝিল পশ্চিম আমির ইউসুফ আলী মোল্লা, শিল্পাঞ্চল আমির কলিম উল্লাহ, শেরেবাংলা নগর দক্ষিণ আমির আবু সাঈদ মন্ডল ও হাতিরঝিল পূর্ব সেক্রেটারি খন্দকার রুহুল আমিন প্রমুখ।

সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, জামায়াত দেশকে একটি মডেল রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য দীর্ঘ পরিসরে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। এ মহতি কাজ সম্পাদনের জন্য একদল আদর্শ ও চরিত্রবান লোক তৈরি করার কোনো বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যেই আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।আমরা ইতোমধ্যে এমন একটি শ্রেণি বা জনগোষ্ঠী সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি যারা দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠায় যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছেন। মূলত, তারা সকল শ্রেণির মানুষের বিবেচনায় আমানতদার, প্রশংসনীয়, আমলদার, দায়িত্ববান এবং ইসলামী আদর্শ ও মূল্যবোধের চর্চাকারী হিসেবে গড়ে উঠতে সচেষ্ট। তিনি ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় থানা দায়িত্বশীলদের প্রতি ঘরে ঘরে ইসলামের সুমহান আদর্শের দাওয়াত পৌঁছানোর আহবান জানান।


তিনি বলেন, জামায়াত একটি গণমুখী ও আদর্শবাদী রাজনৈতিক সংগঠন। দেশ ও জাতির যেকোনো ক্রান্তিকালে আমরা জনগণের পাশে থেকে তাদের কল্যাণ ও মুক্তির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে এসেছি। কিন্তু রাষ্ট্রের প্রয়োজন সাংগঠনিক পর্যায়ে সমাধান করা সম্ভব নয়। মূলত, দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করা গেলে রাষ্ট্রই সকল নাগরিকের অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করবে। জামায়াত একটি সুন্দর; ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বেকারত্বমুক্ত দেশ গড়ার জন্য জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকারাবদ্ধ। আগামী নির্বাচনে জনগণ আমাদেরকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠালে আমরা আমাদের কৃত অঙ্গীকার পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।

তিনি আগামী নির্বাচনকে চ্যালঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।

মন্তব্য / প্রেরক

ক্রিস্টিনার সঙ্গে আমার তিন বছর আগে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে: জয়

ক্রিস্টিনার সঙ্গে আমার তিন বছর আগে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে: জয়

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর তদন্তে তারা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য তার সাবেক স্ত্রী ক্রিস্টিনার তথ্য উঠে এসেছে। তবে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করেছেন সজীব ওয়াজেদ জয় ।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে জয় লিখেন, সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এর একটি রিপোর্ট ফাঁস করা হয়। জয় দাবি করেন, রিপোর্টটি ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে ভরা। তবে তাদের অসাবধানতা ও বোকামির কারণে রিপোর্টটির মিথ্যা প্রমাণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। রিপোর্টে কয়েকটি গুরুতর ভুল রয়েছে বলেও জানান জয়।

এফবিআই বলেছে, তারা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য যাচাই এবং যে কোনো সম্ভাব্য অবৈধ কার্যক্রম মোকাবিলায় সহযোগিতা করার জন্য দুদকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

তদন্তে ম্যাসাচুসেটস ও ভার্জিনিয়ায় সজীব সজীবের স্ত্রী ক্রিস্টিন এবং ওয়াজেদের সঙ্গে সন্দেহজনক ব্যাংক কার্যক্রমের তথ্যও পাওয়া গেছে বলেও উল্লেখ করা হয়। জয় তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘ক্রিস্টিন এবং আমি আর বিবাহিত নই। আমরা প্রায় তিন বছর আগে আলাদা হয়েছি এবং আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।’

এফবিআইয়ের তদন্তে জানা গেছে, হাসিনা ও জয় যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে ৩০ কোটি ডলার (প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা) পাচার করেছেন। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাটি দাবি করেছে, তারা জয়ের আর্থিক কর্মকাণ্ডে উল্লেখযোগ্য অনিয়ম উদঘাটন করেছে।

এফবিআইয়ের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে।

বিলাসবহুল ৮টি গাড়ি, পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জয়ের সম্পৃক্ততা পেয়েছে এফবিআইবিলাসবহুল ৮টি গাড়ি, পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জয়ের সম্পৃক্ততা পেয়েছে এফবিআই

২০২৩ সালের ২৩ এপ্রিল মার্কিন বিচার বিভাগের অপরাধ বিভাগের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে এফবিআইয়ের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। এফবিআইয়ের প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি দুদক হাতে পেয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এফবিআই জয়ের মালিকানাধীন ৮টি বিলাসবহুল গাড়ি পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে - ম্যাকলারেন ৭২০এস (মূল্য ২ লাখ ৫০ হাজার ৫৭৮ ডলার), মার্সিডিজ বেঞ্জ এএমজি জিটি (মূল্য ১ লাখ ৯ হাজার ৮০৬ ডলার), মার্সিডিজ বেঞ্জ এস-ক্লাস (মূল্য ৫১ হাজার ৮ ডলার), এসএল শ্রেণির মার্সিডিজ বেঞ্জ (৭৩ হাজার ৫৭০ ডলার), লেক্সাস জিএক্স ৪৬০ (মূল্য ৩০ হাজার ১৮২ ডলার), রেঞ্জ রোভার (৩৭ হাজার ৫৮৬ ডলার), জিপ গ্র্যান্ড চেরোকি (৭ হাজার ৪৯১ ডলার) এবং গ্র্যান্ড চেরোকি (৪ হাজার ৪৭৭ ডলার)। তবে জয় দাবি করেন, এসব গাড়ি অনেক পুরোনো এবং অধিকাংশই বহু আগে বিক্রি হয়ে গেছে।

এফবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা হংকং ও কেম্যান আইল্যান্ডে সজীবের ব্যাংক হিসাব খুঁজে পেয়েছে। স্থানীয় একটি মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানির মাধ্যমে ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক ও লন্ডনে সন্দেহজনক অর্থ স্থানান্তরের বিষয়টি জানা যায়।

জয়ের সন্দেহজনক কার্যকলাপ খতিয়ে দেখতে এফবিআই যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অনুসন্ধানগুলো সম্ভাব্য অবৈধ ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন।

এফবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্পেশাল এজেন্ট লা প্রিভোটের সঙ্গে মার্কিন বিচার বিভাগের সিনিয়র ট্রায়াল অ্যাটর্নি লিন্ডা স্যামুয়েলসের যোগাযোগ হয়। তিনি বাংলাদেশ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার চুরি এবং যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাচার সংক্রান্ত একটি মামলায় ওয়াশিংটন ফিল্ডের সহায়তা চেয়েছিলেন। তবে ফেসবুক পোস্টে সজীব ওয়েজদ জয় দাবি করেন, রিপোর্টে যে এফবিআই এজেন্টের কথা বলা হয়েছে তিনি বহু বছর আগেই সংস্থা থেকে অবসর নিয়েছেন। যে বিচার বিভাগের যে আইনজীবীর কথা বলা হয়েছে, তিনি ২০১৩ সালে মারা গেছেন। তার মৃত্যু সংবাদের খবরের লিংক শেয়ার করেন জয়।

হাসিনা ও সজীব সজীব যুক্তরাষ্ট্র ও কেম্যান আইল্যান্ডে অর্থ পাচার করেছেন উল্লেখ করে এফবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচার বিভাগের সম্পদ বাজেয়াপ্তকরণ বা মানি লন্ডারিং বিভাগ এসব তহবিল খুঁজে বের করতে, সংযত করতে, জব্দ করতে ওয়াশিংটন ফিল্ডের সহায়তা চেয়েছিল। আমাদের তদন্তে ওয়াজেদ কনসাল্টিং ইনকর্পোরেটেড নামে সন্দেহজনক কার্যকলাপও পাওয়া গেছে। ওয়াজেদ কনসালট্যান্ট বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অসংখ্য ব্যবসায় নিয়োজিত ছিল এবং বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট প্রকল্পের যুক্ত ছিল। তবে জয় দাবি করছেন, তার কোনো অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। তিনি এই শাসন ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করে দেখাতে বলেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব আর্থিক লেনদেনের বৈধতা নির্ধারণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সতর্কতার সঙ্গে যাচাই-বাছাই ও তদন্তের দাবি রাখে।

এফবিআইয়ের প্রতিবেদনে তাদের গোপন তথ্যদাতা জয়ের দুই সহযোগীর নামও জানিয়েছেন- যুক্তরাষ্ট্র মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক নিজাম চৌধুরী। গোয়েন্দা সংস্থাটি ওয়াজেদ কনসাল্টিং, ইকম সিস্টেমস, এমভিয়ন ও ইন্টেলিজেন্ট ট্রেড সিস্টেমস লিমিটেডসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে সজীবের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে।

মন্তব্য / প্রেরক

খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কমিটিতে যারা আছেন

খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কমিটিতে যারা আছেন

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল নুরপুরীকে চেয়ারম্যান করে অভিভাবক পরিষদ, শায়খুল হাদীস আল্লামা মামুনুল হককে আমির ও মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদকে মহাসচিব করে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) দিনব্যাপী বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ২০২৩-২৪ সেশনের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার শেষ অধিবেশন আমীরে মজলিস আল্লামা ইসমাইল নূরপুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।


অভিভাবক পরিষদের অন্যান্য সদস্য হলেন- মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা আকরাম আলী, মুফতি হিফজুর রহমান, মাওলানা আব্দুস সোবহান, মাওলানা ফরিদ আহমদ খান, মাওলানা ফরিদ আহমদ, মাওলানা মোশাররফ হোসাইন আদীব ।

কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য দায়িত্বশীলরা হলেন- নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মাওলানা আফজালুর রহমান, মাওলানা রেজাউল করীম জালালী, মাওলানা আলী উসমান, মুফতী সাঈদ নূর, মাওলানা মুহিউদ্দীন রব্বানী, মাওলানা হেলালুদ্দীন, মাওলানা শাহীনুর পাশা, মাওলানা কোরবান আরী কাসেমী, মাওলানা মাহবুবুল হক, মাওলানা হোসাইন হাবীবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা আব্দুল আজীজ, মুফতি শরাফত হোসাইন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, মাওলানা শরীফ সাইদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, মুফতি ওজায়ের আমীন, মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ, মাওলানা মুহসিনুল হাসান, মাওলানা ফয়েজ আহমদ, মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ হাদী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম।

 

বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা রেজাউল হক, মাওলানা সামিউর রহমান মুসা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূঁইয়া, অফিস সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমীন খান, আইন বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শরীফ হোসাইন, সহকারী প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা হাসান জুনাঈদ।

নির্বাহী সদস্য মাওলানা এনামুল হক নূর, মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা মুশাহিদুর রহমান, মুফতী হাবীবুর রহমান, মাওলানা জসিম উদ্দীন, মাওলানা হোসাইন আহমদ, মুফতি হাবীবুর রহমান কাসেমী, মাওলানা আব্দুন নুর, মাওলানা সাব্বির আহমদ উসমানী, মাওলানা আব্দুস সোবহান, মাওলানা মুহসিন উদ্দীন বেলালী, মাওলানা আব্দুল মুমিন, মাওলানা মামুনুর রশীদ, মাওলানা লিয়াকত হোসাইন, মাওলানা মঈনুল ইসলাম খন্দকার, মুফতি আজিজুল হক, হাফেজ শহীদুল ইসলাম, মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ, মওলানা আনোয়ার মাহমুদ, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মাওলানা রেজাউল করিম।

 

মন্তব্য / প্রেরক

অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে যে মূল্যায়ন অলি আহমদের

অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে যে মূল্যায়ন অলি আহমদের

দেশের রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে বরারই সোচ্চার থাকেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।


এরই অংশ হিসেবে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পতনের পর দেশের রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যুগান্তরের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রম নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

প্রশ্নোত্তরে অলি আহমদ বলেন, তারা খুব দীর্ঘ গতিতে চলছে। আরও দ্রুতগতিতে চলা উচিৎ ছিল। তাদের কাছ থেকে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পর্বত সমান। কিন্তু জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা তারা ভঙ্গ করেছে। তাদেরকে আরও সুপরিকল্পিতভাবে; নির্দিষ্টভাবে প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয়ের কী করণীয়-প্রধান উপদেষ্টার উচিত ছিল প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয়ের জন্য একটা রূপরেখা তৈরি করা এবং এই রূপরেখা তৈরি করে প্রত্যেকটা মন্ত্রীকে কাগজটা হাতে ধরিয়ে দেওয়া। তুমি এই লাইনটা ফলো করো; এই লাইনটা ফলো করে তোমার কর্মকাণ্ডগুলো পরিচালনা করো। তাহলে অধিক সফলতা আসত এবং এটা সময়সীমা বেঁধে দেওয়া উচিত ছিল।

তিনি আরও বলেন, একটা পোস্টিং করতেও দুই সপ্তাহ চলে যায়; একটা পোস্টিং ক্যানসেল করতে পাঁচ সপ্তাহ চলে যাচ্ছে-এভাবে তো হয় না। প্রত্যেক মন্ত্রীকে অর্থাৎ যারা উপদেষ্টা হয়েছে তাদেরকে একটা রূপরেখা দেওয়া হওয়া উচিত ছিল-যে তোমাকে এই কাজগুলো এতদিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। যেমন আমি যখন প্রধান উপদেষ্টার কাছে গেলাম উনাকে কতগুলো পরামর্শ দিয়েছিলাম-যে আপনি কমিটিগুলো করেছেন খুবই ভালো করেছেন।

কমিটির কাজ হবে বড় বড় এক্সপার্টদেরকে নিয়ে তাদের সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলো আলোচনা করবে; আলোচনা করে তারা একটা রূপরেখা রেডি করবে। এই রূপরেখা রেডি করে তাদের মেম্বারদের সঙ্গে এগুলো নিয়ে আলোচনা করে একটা চূড়ান্ত রূপ নেবে। চূড়ান্ত রূপ নেওয়ার পরে এটা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সার্কুলেট করা হবে। রাজনৈতিক দলগুলো এই খসরা পেপারের ওপরে তাদের মন্তব্যগুলি দেবে।

কিন্তু ঠিক উলটাটা হয়েছে- এই কমিটিগুলি তার ধারের কাছেও যায় নাই। কমিটিগুলি প্রথম দিন থেকেই রাজনৈতিক দলের মন্তব্য চাচ্ছে। একটা রূপরেখা তৈরি করে রাজনৈতিক দলগুলোকে দিলে তাহলে দেশ উপকৃত হতো এবং তারপরে রাজনৈতিক দলের মতামত পাওয়ার পরে লিখিতভাবে পুরো দেশে একটা কর্মশালা হওয়া উচিত ছিল দুই তিন দিনের জন্য।

বিভিন্ন জেলা থেকে যারা এ বিষয়ে এক্সপার্ট তাদের ডেকে দুইদিন তিনদিন এটার ওপরে ডেলিব্রেশন হবে; তাদের মন্তব্য নেবে- তাহলে কোনো রাজনৈতিক দল আর দ্বিমত পোষণ করার সুযোগ পেত না। সমগ্র জাতিকে এটাতে ইনভল্ভ করা হতো- প্রথমে ইনভল্ভ করলেন আপনি এক্সপার্টদেরকে, তারপরে আপনি ওই কমিটির মেম্বারদেরকে, তারপরে রাজনৈতিক দলকে, তারপরে কর্মশালার মাধ্যমে পুরো বাংলাদেশের এক্সপার্টদেরকে; তাহলে এখানে রাজনৈতিক দলের আর কোনো বিষয় থাকতো না; কেউ আপত্তি করার মত সুযোগ থাকতো না। কিন্তু এ কাজটা কোন কমিটি করে নাই। তারা নিজের ইচ্ছামত একটা চিঠি ইস্যু করে প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলকে দায়সারা গোছের কাজ করছে। তারা নিজেই কাজ জানে না আমাদের কাছ থেকে কী কাজ নেবে।

আপনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিতে চান কিনা বা এ বিষয়ে আপনি কি বলবেন?


জবাবে অলি আহমদ বলেন, দেশের মঙ্গলের জন্য নিতে পারি। কারণ বাংলাদেশে রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা আমি ছাড়া বর্তমানে কারো নাই- আমি এটা গর্ব করে বলব না- শহিদ জিয়ার সঙ্গে আমি পাঁচ বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করেছি একসঙ্গে- তিনবার মন্ত্রী ছিলাম, ছয়বার এমপি ছিলাম- এই অভিজ্ঞতা নিয়ে এর ধারের কাছে বাংলাদেশে কেউ নেই। রাষ্ট্র পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা কারো নাই। হয়তো মন্ত্রী পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা আছে কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা আমি ছাড়া বর্তমানে কারো নেই; সেই দক্ষতাও নেই।

মন্তব্য / প্রেরক